Header Ads Widget

Responsive Advertisement

৭ টি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার প্ল্যান

 ফ্রিল্যান্সিং জগত নিয়ে আমাদের উৎসাহের শেষ নেই। দিনকে দিন তা বেড়েই চলেছে আর নিত্য নতুন প্রযুক্তি আসছে একের পর এক। বাইরের দেশে ফ্রিল্যান্সিং বেশ সম্মানজনক পেশা হিসেবে মূল্যায়িত হলেও আমাদের দেশে অনেকেই এটাকে সাধারণ ব্যবসা বা এক্সট্রা টাকা ইনকামের একটা মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করেন। এমন অনেক ভাই-বোনকে দেখেছি যারা ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করলেও সমাজে বা পরিবারে তেমন মূল্যায়ণ পান না। অথচ বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং জগতে শীর্ষে থাকা ৫ টি দেশের মধ্যে ২য়।

ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক ধাপ আর সেক্টর আছে। চাকরির পাশাপাশি এটা করা যায় আবার ব্যবসা হিসেবেও করা যায়। দেশে অনেক বড় বড় আইটি ফার্ম আছে যারা এই পেশায় জড়িত। বিভিন্ন সেক্টরগুলো নিয়েই আজকের এই লেখা এবং কোন সেক্টর বেশি লাভজনক তাও আজকের এই সীমিত পরিসরে বলা হবে।

 

ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং

ক্যারিয়ার বলতে আমরা ম্যাক্সিমাম মানুষই বুঝি সরকারী চাকরি বা বেসরকারী বড় কোনো প্রতিষ্ঠানে ভাল মানের পোস্ট, শিক্ষকতা, গ্রুপ অফ কোম্পানিতে জব-এইসব। ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং যেন কেমন অড লাগে বা অনেকেই কেমন জানি নাক সিটকানো ভাব দেখান। ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং অত্যন্ত যুগপযোগী ও তাৎপর্যের।

ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি? আর কেনই বা এর নাম ফ্রিল্যান্সিং? ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি এসেছে ফ্রিল্যান্স শব্দ থেকে। ফ্রিল্যান্স অর্থ হলো স্বাধীনভাবে কোনো কাজ করা বা প্রজেক্ট হিসেবে কাজ করে দেওয়া। এই কাজ চুক্তিভিত্তিক হতে পারে আবার এককালীন হতে পারে। কখনো কখনো বড় কোনো কাজ পাওয়া গেলে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি আরোও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে একটা টিম গঠন করে কাজটি সম্পাদন করে থাকেন। এখানে যোগ্যতা আর কাজের ধরণ রকম অনুযায়ী সম্মানী প্রদান করা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং স্বাধীন পেশা কারণ বিভিন্ন কোর্স বা ইউটিউব অথবা গুগলের আর্টিকেল থেকে শিখে সেগুলো রপ্ত করা যায় আর ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যায়। শুরুতে কঠিন লাগলেও দিনে দিনে এই কাজগুলো সহজ হয়ে আসে। ব্যাপারটা কিছুটা আদিম যুগের মার্সিনারি বা ভাড়াটে সৈন্যদের চাকরির মত। পে ফর ওয়ার্ক স্টাইল তবে কোনো বসিং বা কঠিন টার্মস/কন্ডিশন নেই।

ফ্রিল্যান্সিংকে জনপ্রিয় করে তোলার কাজে আমেরিকা ও ইউরোপের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা এমন কোনো কাজ নেই যা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে করে না। এমনকি পেস্ট কন্ট্রোলের এজেন্সি থাকলেও তারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স পেস্ট কন্ট্রোলারদের কাজ দেয়-এতে খরচ বাঁচে সাথে সময়ও। কারণ, ফ্রিল্যান্সারদের ২৪ ঘন্টাই পাওয়া যায় আর তারা দ্রুততার সাথে কার্যসম্পাদন করে।

ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে আপনাকে বুঝতে হবে যে কোন্ কাজটি আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ হবে। আপনি যদি রান্না ভালো পারেন আর ওয়েবপেজ ডিজাইন নিয়ে ফ্রিল্যান্স করতে চান- স্বভাবতই এটা খুবই টাফ হবে। তেমনি আপনি যদি ফটোশপের কাজে দক্ষ হন কিন্তু লেখালেখির সাথে জড়িত হতে চান-সেটাও সম্ভব না। তবে অনেকেই রিস্ক নিয়ে থাকেন, সফলও হন। সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হলো যে যেরকম কাজ পারেন, সেটা নিয়েই সামনের দিকে আগানো এবং নিজেকে একধাপ এগিয়ে রাখা। আপডেট হচ্ছে নিয়মিত সবকিছুই, সাথে বিশ্বও তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে। সেজন্য আমাদেরও আপডেট থাকতে হবে, প্রতিনিয়ত।

৭ টি ক্যারিয়ার প্ল্যান

নিজের সক্ষমতা আর যোগ্যতায় যে কাজ পারবেন সেটা তো করবেনই, পাশাপাশি আরো বিস্তৃত আকারে কাজ করার মানসিকতাও থাকতে হবে। নিচে বর্ণিত ৭ টি ফ্রিল্যান্সিং আইডিয়া হতে পারে সবার জন্যই সহজ আর স্বল্প সময়ের পরিসরে। তবে এই কাজগুলো করতে গেলে অবশ্যই থাকতে হবে একটি কম্পিউটার/ল্যাপটপ, একটি স্মার্টফোন, বেশ কিছু ইমেইল আইডি, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট আর মূলধন বা ইনভেস্টমেন্ট (সীমিত আকারে)-

গ্রাফিক্স ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং এর কথা উঠলে সবার আগেই চলে আসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের নাম। বর্তমানে গ্রাফিক্স ছাড়া কিছুই হয় না। লম্বা লম্বা আর্টিকেল বা লেখা দেখলে পাঠকরা বেশিক্ষণ কোনো সাইটে থাকে না ও পরে আসতেও চায় না। সেজন্য কোনো সাইটকে সৌন্দর্যমন্ডিত করতে গ্রাফিক্স ডিজাইন অবশ্যই দরকারী। সারাবিশ্বে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রচুর কাজ থাকে। ২৪ ঘন্টাই কোনো না কোনো ডিজাইনারকে আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেনই। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সারাদিনই বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইনার পাওয়া যাবে। আমাদের দেশেও ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, ও পিওপলপারআওয়ার মার্কেটপ্লেস গুলোতে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও তাদের প্রোফাইল পাওয়া যায়। আপনিও হতে পারেন তাদের একজন-যদি ভালো রকম কাজ পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক শাখা-প্রশাখা আছে। শুধু ফটোশপে বা ইলাস্ট্রেটরে কাজ জানলেই হবে না; শিখতে পারেন লোগো ডিজাইন, বাটন ডিজাইন, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিং, ইমেজ অপটিমাইজেশন সহ আরো অসংখ্য কাজ। বিভিন্ন উৎসবে টি-শার্ট ডিজাইন বা মগ, ক্রেস্ট ডিজাইনও গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে পড়ে। বর্তমানের আলোচিত ইউআই/ইউএক্স সাইট ডিজাইনও মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ। বিভিন্ন আইটি কোম্পানি তাদের নিজস্ব ব্রান্ডিং এর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়োগ দেয় বা ফ্রিল্যান্সারদের সাহায্য নিয়ে থাকে।

কুকিং ও ক্যাটারিং সার্ভিস

মেয়েরা বরাবরই অনলাইন জগৎ বা ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে পিছিয়ে কারণ প্রপার গাইডলাইন আর টার্গেট ঠিক না করার জন্য। বাইরের দেশে নয়- আমাদের দেশেই এটা বেশি দেখা যায়। কুকিং বা রন্ধনশিল্প এমন এক বিষয় যার চাহিদা কখনোই কমবে না এবং বেশ লাভজনক। মেয়ে বলে বলছি না, অনেকেই বাসায় ভালো রান্না করে থাকেন। এই শিল্পটাকে আরেকটু অলংকৃত করে আপনিও শুরু করতে পারেন ছোট্ট একটা লোকাল বিজনেস। ছোটখাট ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজই যথেষ্ট এই ব্যবসাটা শুরু করার জন্য। অর্ডার পেলে ডেলিভারি সিস্টেমে চালাতে পারেন আপনার এজেন্সি।

ক্যাটারিং সার্ভিস একটু বড় পরিসরে হয়ে থাকে। করোনাকালিন সময়ে অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়েছে বা খাবারের মান কমে গেছে। ভোক্তারা রীতিমত বিরক্ত অনেক ক্ষেত্রে। আপনি যদি ভালো মানের সার্ভিস দিতে পারেন বা ২০-৫০ টি অর্ডার কম্পিলিট করতে পারেন, এক সপ্তাহও লাগবে না আপনার পরিচিতি আসতে। ফুডপান্ডা এভাবেই শুরু করেছিল তাদের ব্যবসা। বাইরের দেশে অফিস-আদালতে দুপুরের খাবার দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাটারিং সার্ভার বা প্রতিষ্ঠান থাকে। এমনকি আমাদের দেশেও আছে তবে সেগুলো তেমন একটা বড় পরিসরে নেই। বিভিন্ন ব্যাংক, অফিস, প্রতিষ্ঠানে দুপুরের খাবার বা রাতের ডিনার দিয়ে থাকে ছোটখাট রেস্তোরা বা ব্যক্তিগত পর্যায়ের মানুষেরা। আপনিও চাইলে এই সার্ভিস দিতে পারেন স্বল্প খরচে।

 সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আমাদের দিন যায় না একরকম। ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, লিংক্ডইন সহ আরো বহু সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা জড়িত। সার্ফিং করার পাশাপাশি নিজেরাও মাঝেমধ্যে পোস্ট দিয়ে থাকি, ভিডিও শেয়ার করি, টিউটোরিয়াল শেয়ার করি। আর সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের মাধ্যমে অনেক সাইটে ব্যাকলিংকও করা সম্ভব। যত নামকরা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট, তার থেকে আসা লিংক জুসও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বাইরের দেশের নামকরা সেলিব্রিটিরা নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে থাকেন এবং ঘন্টাখানেকের মধ্যেই সেখানে হাজার হাজার লাইক বা শেয়ার চলে আসে।

এই কাজটি করে থাকেন একজন ম্যানেজার। সেলিব্রিটিদের পোস্ট বা লগইন হয়ে থাকার সময় কম তাই তারা একজন মিডিয়া ম্যানেজারের শরণাপন্ন হন। মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ হলো নিয়মিত পোস্ট আপডেট রাখা, নিজস্ব আইডিয়া দিয়ে পোস্ট দেয়া, মার্কেটিং করা, শেয়ার করা, ইত্যাদি। মোট কথা, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেরই (এসইও) একটা ধাপ হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। এসইও যেখানে বিভিন্ন সাইটে গিয়ে ব্যাকলিংক তৈরি করেন, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারও বিভিন্ন মিডিয়ায় পোস্ট শেয়ারের মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করেন।


ভয়েসওভার অ্যাক্টর

ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক সহ আরো বিভিন্ন ভিডিও স্ট্রিমিং মাধ্যমগুলোতে কন্ঠ দেওয়া বা বর্ণনা করা বর্তমানে বেশ চাহিদাসম্পন্ন। আমাদের দেশেই বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে এই ভয়েসওভার এক্টররা কাজ করে থাকেন। আর বাইরের দেশে তো কথাই নেই কারণ সেখানে ইউটিউবারও বেশি এবং ভিডিও প্রচুর। তবে শর্ত হলো আপনাকে স্পষ্ট ও মাধুর্যপূর্ণ কন্ঠের অধিকারী হতে হবে। কন্ঠের ওঠানামা, আবেগ, এক্সপ্রেশন- এগুলো বুঝে ভিডিওতে কন্ঠ দিতে হয়।

কোন্ কোন্ ভিডিওতে আপনি ভয়েসওভার এক্টর হিসেবে যোগ দিতে পারেন? বর্তমানে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ভিডিও হলো গেমিং টিউটোরিয়াল আর অনলাইন টিউটোরিয়াল। বিভিন্ন নামকরা গেমাররা তাদের গেমপ্লে ভিডিও করে আর প্রতিটা স্টেপ আরেকজনকে দিয়ে বলায় এবং এভাবেই কিছু ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে একটা পরিপূর্ণ ভিডিও আপলোড করা হয় চ্যানেলগুলোতে। অবশ্য লাইভ ভিডিও আলাদা ব্যাপার। সেখানে সরাসরি চ্যানেল ওনার কোনো ভিডিও স্ট্রিমিং করে থাকেন। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ভয়েসওভার এক্টরের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট একটি সম্মানজনক পেশা। ব্যাপারটা আমাদের দেশের অফিস-আদালতের ক্লারিকাল জবগুলোর মতই, বরং আরো বিস্তৃত। এখানে বায়ার বা নিয়োগকর্তা আপনাকে তার যাবতীয় কাজকর্মের একজন সহায়ক বা হেল্পার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। হতে পারে তিনি কোনো ভার্সিটির অধ্যাপক, হতে পারে কোনো নামকরা প্রতিষ্ঠানের সিইও বা এইচ আর। ডকুমেন্টেশন, ইমেইল আদান-প্রদান, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো পরিচালনা করা, লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া, আইনগত বিষয়গুলো দেখা- এসব কিচুই ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টের আওতায় পড়ে।

এক কথায়, ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হলো কোনো ব্যাক্তির পার্সোনাল সেক্রেটারির মত। সরাসরি কোনো দেখা-সাক্ষাৎ না হলেও অনলাইনেই তার যাবতীয় বিষয়গুলো সমাধান করা যায়। এমনও অনেক ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টকে দেখেছি যারা বায়ার বা নিয়োগকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করে বাইরের দেশে পাড়ি দিয়েছেন নিয়োগকর্তার সাহায্যে। যারা বাইরে যেতে ইচ্ছুক, ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন অনায়াসেই। তবে আপনাকে হতে হবে কুইক থিংকার, ডিসিশন মেকার, মার্জিত, রুচিসম্পন্ন, আর স্মার্ট। জানতে হবে মাইক্রোসফট অফিসের যাবতীয় এবং ইন্টারনেটের সূক্ষাতিসূক্ষ বিষয়গুলো।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

২০০০ সালের আগে পরে ছিল সফটওয়্যারের যুগ আর স্বর্ণালী সময়। বর্তমানে চলছে অ্যাপের যুগ। সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন আর হাই কনফিগারেশনের মোবাইল। সফটওয়্যারের পাশাপাশি মানুষ এখন মোবাইল অ্যাপসের উপরেও নির্ভরশীল। গেম থেকে শুরু করে নিত্যদিনের কাজের রেকর্ড রাখার অ্যাপও আছে। তাছাড়া বিভিন্ন দরকারী টিপস-ট্রিক্স, অনলাইন শপ, টিউটোরিয়াল, প্রোগ্রামিং, ক্যালেন্ডার, টুলস, প্রভৃতি হাজার হাজার অ্যাপ আছে সাইবার দুনিয়ায়।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে রিএক্ট ও নোড জেএস সফটওয়্যারের খুটিনাটি সবকিছু জানতে হবে। ধারণা থাকতে হবে আইফোন অ্যাপ মেকিং সম্পর্কে। কারণ বাইরের দেশে এন্ড্রয়েডের চেয়ে আইফোন চলে বেশি। অনলাইনে প্রচুর রিসোর্স আছে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে। আছে হাজার হাজার ইউটিউব ভিডিও। সেগুলো থেকে সহজেই শিখে নিতে পারেন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। তবে অবশ্যই আপনাকে ডেডিকেটেড থাকতে হবে এবং শেখার আগ্রহ থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর প্রাকটিস করতে হবে এবং বেটার পোর্টফোলিও তৈরির জন্য আগে থেকেই কিছু ছোটখাট অ্যাপ বানিয়ে মার্কেটপ্লেসে মার্কেটিং করতে হবে, শেয়ার করতে হবে ফ্রিতেই।

ফটোগ্রাফি

অনেকেরই হয়ত ডিএসএলআর ক্যামেরা আছে বা নিজস্ব স্টুডিও রয়েছে। আজকাল কোনো ওয়েবসাইটই হাই রেজুলেশন ছবি ছাড়া মার্কেট পায় না। তাছাড়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লাইভ ছবির চাহিদা ব্যাপক। শুধু স্টিল পিকচারই নয়, শর্ট ভিডিও বানানো সম্ভব একটি হাই কোয়ালিটি ক্যামেরা দিয়ে। এসব শর্ট ভিডিও বিক্রি করে এককালীন বা মাসিক ভিত্তিতে আয় করতে পারেন।

ডিজিটাল টেকনোলজির দ্রুত প্রসারে আজকাল ড্রোন থেকে তোলা ছবিরও প্রচুর চাহিদা। কিনে ফেলতে পারেন ফটোশুট ড্রোন আর তুলতে পারেন আকাশ থেকে ছবি। অবশ্য ড্রোনে ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয় যা একটু জটিল। তবে ড্রোন থেকে তোলা ছবির অনেক মূল্য যা প্রায় ৫০টি স্টিল ছবির সমান। আপওয়ার্ক, ফাইভার সহ অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে ফটোগ্রাফারদের বেশ চাহিদা রয়েছে। ভালো পোর্টফোলিও থাকলে আর রুচিশীল ফটোশুট করতে দক্ষ হলে, বেছে নিতে পারেন আপনার নতুন ক্যারিয়ার- ফটোগ্রাফি।

সারকথা

 ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্মানজনক পেশা বা ব্যবসা। আমাদের দেশে আপামর জনসাধারণ টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বুঝতে পারেনা বলেই এই পেশাকে ক্যারিয়ার হিসেবে উপস্থাপণ করতে দ্বিধাবোধ করে। অথচ উন্নত দেশগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং করে কোটি কোটি ডলার কামিয়ে নিয়েছে অনেকেই। খুলে ফেলেছে বিরাট বিরাট কোম্পানি। আজকের নেমচিপ বা গোড্যাডি নিজেরাই একসময় ফ্রিল্যান্সার ছিল এবং পরে কাজের চাপে কোম্পানি খুলতে বাধ্য হয়। এরকম বেশ কিছু কোম্পানি আমাদের দেশেও আছে যারা শুধু নিজেরাই স্বাবলম্বী হয়নি বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও তৈরি করেছে, করে যাচ্ছে। তাই দ্বিধা না করে, আশেপাশের মানুষের কটুকথা ইগনোর করে গড়ে তুলুন আপনার ক্যারিয়ার। স্বাবলম্বী হন, কর্মক্ষেত্র তৈরি করুন। বাইরের দেশের ইনভেস্টররা একটা সময় ইনভেস্ট করা বন্ধ করে দেবে। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার আপনাকেই করে তুলবে সফল একজন বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা। ধন্যবাদ।


Post a Comment

0 Comments